Kushum shikdar biography templates

কুসুম শিকদার

কুসুম শিকদার একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি নাটক এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[১] ২০০২ সালে তিনি লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।[২] ২০১০ সালেগহীনে শব্দ দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয়শিল্পী হিসেবে এবং ২০২৪ সালে শরতের জবা দিয়ে পরিচালক হিসেবে অভিষেক করেন।[৩][৪] তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র লাল টিপ-এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন এবং তার অভিনীত পরবর্তী চলচ্চিত্র শঙ্খচিল-এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন[৫] এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

কুসুম ১৯৮১ সালের ১২ এ‌প্রিল জন্ম গ্রহন করেন।[৭] ছোটবেলা থেকে সঙ্গীত চর্চা করতেন। তিনি নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল সঙ্গীত এবং ধ্রুপদী সঙ্গীতের উপর কোর্স সম্পন্ন করেন। পরে ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ এবং ওস্তাদ মোরশেদের কাছে গানের তালিম নেন।[৮]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

অভিনয় জীবন

[সম্পাদনা]

২০১০ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী গহীনে শব্দ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কুসুমের বড় পর্দায় আগমন ঘটে। ছবিতে তিনি স্বপ্না চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মামনুন হাসান ইমন। পরে তিনি ফ্রান্স-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার লাল টিপ ছবিতে কাজ করেন। এই ছবিটি পরিচালনা করেন স্বপন আহমেদ। এই ছবিতেও তার বিপরীতে ছিলেন ইমন।[৯] এই ছবিতে নিধি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৫তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারেজয়া আহসানের (চোরাবালি চলচ্চিত্রের জন্য) সাথে যৌথভাবে তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।[৬] ২০১৫ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী শঙ্খচিল ছবিতে অভিনয় করেন। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।[১০][১১][১২] এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৫তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৬] ২০১৮ সালে প্রদত্ত ৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি নুসরাত ইমরোজ তিশার সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।[১৩]

সঙ্গীত জীবন

[সম্পাদনা]

কুসুমের প্রথম একক অ্যালবাম তুমি আজ কত দূরে প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর তার দুটি মিশ্র অ্যালবাম জীবনের যত পাওয়া এবং অদল বদল বের হয় যথাক্রমে ২০০০ এবং ২০০১ সালে।[১৪] দীর্ঘ ১৬ বছর পর "নেশা" শীর্ষক তার একটি একক গান প্রকাশিত হয় ৩ আগস্ট, ২০১৭। বঙ্গ বিডির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির সঙ্গীতের ভিডিওতেও তিনি অভিনয় করেন।[৮]

পরিচালনা

শরতের জবা নামক সিনেমা দিয়ে প্রথমবারের মতো পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ কতে যাচ্ছেন কুসুম শিকদার।[১৫] এই সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে রয়েছেন কুসুম শিকদার নিজে। সিনেমার গল্প তার ২০২১ বইমেলায় প্রকাশিত অজাগতিক ছায়া বইয়ে রয়েছে।[১৬]

বিতর্ক

[সম্পাদনা]

কুসুম শিকদার তার গাওয়া প্রথম গানের লিরিক্স ও মিউজিক ভিডিওর জন্য নেতিবাচক ভাবে সমালোচিত হন। মিউজিক ভিডিওতে তিনি নিজেই মডেলিং করেন।[১৭] ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট তার মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম নেশা প্রকাশিত হলে বাংলাদেশে বিশেষভাবে আলোচিত হয়। নেশা গানটির ওপরে অশ্লীলতার অভিযোগ ওঠে ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৩ আগস্ট, ইউটিউব থেকে 'নেশা' গানটির সমস্ত ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে আইনি নোটিস জারি করা হয়।[১৮]

অভিনীত নাটকসমূহ

[সম্পাদনা]

বছর নাটক চরিত্র পরিচালক টীকা
২০১৮ শেষ অশেষের গল্প হানিফ সংকেত

চলচ্চিত্রের তালিকা

[সম্পাদনা]

রচনাবলি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]